বিভুরঞ্জন সরকার : ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের প্রতি ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশের ভাষা আমার জানা নেই। তিনি সাংবাদিকতা জগতের দিকপাল ও নমস্য তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার পুত্র এটা লিখতেও লজ্জায় আমার মাথা নত হয়ে আসছে। বংশপরিচয় বা উচ্চশিক্ষাও যে কারো ভব্যসভ্য হয়ে ওঠার জন্য যথেষ্ট নয়, সেটা নতুন করে প্রমাণ করলেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন । একজন যুগসেরা সম্পাদকের পুত্র, যার নিজের নামও একসময় পত্রিকায় সম্পাদক হিসেবে ছাপা হতো, যিনি নামের আগে ‘ব্যারিস্টার’ শব্দটি ব্যবহার করেন তিনি যদি সাংবাদিকদের প্রতি অবজ্ঞাসূচক মন্তব্য করেন, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন তাহলে ব্যাপারটিকে হালকাভাবে নেওয়া যায় না।
শুধু তাই নয়, তিনি মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) রাতে একাত্তর টেলিভিশনের একটি লাইভ অনুষ্ঠানে প্রশ্নকারী একজন নারী সাংবাদিককে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করে গর্হিত অপরাধ করেছেন। মইনুল হোসেনকে প্রশ্ন করেছিলেন দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও কলামিস্ট মাসুদা ভাট্টি। মইনুল হোসেনের কাছে মাসুদা ভাট্টির প্রশ্ন ছিল : ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সকলেই এই প্রশ্ন তুলছেন যে, আপনি এই ঐক্যফ্রন্টের আয়োজনে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করেন কি না’?
প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে গালি দেন। একজন নারীকে একটি ইলেক্টনিক প্রচার মাধ্যমে এভাবে বলা যায় কি না সেই বিবেচনাবোধ যার নেই তিনি জাতিকে সুবচন শোনানোর ইজারা নিয়েছেন। কারো চরিত্রের সনদপত্র দেওয়ার দায়িত্ব কি তাকে কেউ দিয়েছে?
কোনো প্রশ্নের জবাব না দেওয়ার অধিকার তিনি সংরক্ষণ করেন অবশ্যই, কিন্তু প্রশ্ন করার জন্য কাউকে তিনি গাল দিতে পারেন না। মাসুদা ভাট্টি বা অন্য যে কেউ তাকে প্রশ্ন করার অধিকার রাখেন।
চরম অসহিষ্ণু, অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধাহীন মঈনুল হোসেন যখন ‘গণতন্ত্র’ পুনরুদ্ধার করতে চান, তখন সঙ্গত কারণেই নানা প্রশ্ন সামনে আসে।
পিতার কারণে বঙ্গবন্ধুর ‘করুণা’র কোটায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে মঈনুল হোসেন বঙ্গবন্ধুর বিরোধিতা করেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার সরাসরি সংশ্লিষ্টতা ছিল কি না, জানি না। তবে তিনি খুনি মোশতাকের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন এবং মোশতাকের ডেমোক্রেটিক লীগেও যোগ দিয়েছিলেন।
ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সঙ্গে ইত্তেফাকের মালিকানা বিরোধের জেরে ইত্তেফাক ভবনে হত্যাকাণ্ডও সংঘটিত হয়েছে। মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে সেই হত্যা মামলারও সুরাহা হয়েছে বলে শুনিনি।
এক / এগারোর সময় মইনুল হোসেন রাজনীতিবিরোধী ভূমিকা পালন করেছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণও করেছেন। তিনি ছাত্র শিবিরের সভায় উপস্থিত হয়ে তাদের যে প্রশস্তি গেয়েছেন, তা থেকে তার রাজনৈতিক মানস বুঝতে কারো কষ্ট হওয়ার কথা নয়। বাহ্যত গণতন্ত্রের জন্য মায়াকান্না কাঁদলেও বাস্তবে তিনি একজন স্বৈরমানসিকতার মানুষ। তার কথা বলার ধরন, শারীরিক ভাষা সব কিছুর মধ্যেই এক ধরনের ঔদ্ধত্যের বহিঃপ্রকাশ লক্ষ করা যায়। তিনি যখন কারো চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তখন ক্ষোভ চেপে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে গালি দিয়ে মঈনুল হোসেন সৌজন্য-শিষ্টাচারের সীমা লঙ্ঘন করেছেন। এ জন্য একজন পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেও বিব্রত ও লজ্জিত বোধ করছি। মাসুদা ভাট্টি আমার সহকর্মী। তার সামনে গিয়ে কিছু বলার নৈতিক বল আমি হারিয়েছি মইনুল হোসেনের মতো ‘হটহেডেড’ একজন মানুষের বেসামাল শব্দ চয়নের কারণে। এই অশোভন এবং অমার্জিত শব্দ ব্যবহারের জন্য মাসুদা ভাট্টির কাছে মঈনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। একজন নারীর জন্য অত্যন্ত অপমানজনক এই শব্দ প্রত্যাহার করতে হবে। এটা আমাদের দাবি। কারো চরিত্র হননের অধিকার কারো নেই, থাকতে পারে না। সবচেয়ে বড় কথা, যিনি অন্যকে শ্রদ্ধা বা সম্মান করতে জানেন না, তিনি অন্যের কাছে থেকেও সম্মান বা শ্রদ্ধা পেতে পারেন না। মইনুল হোসেনের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ না করে কি পারা যায়?
শুধু তাই নয়, তিনি মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) রাতে একাত্তর টেলিভিশনের একটি লাইভ অনুষ্ঠানে প্রশ্নকারী একজন নারী সাংবাদিককে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করে গর্হিত অপরাধ করেছেন। মইনুল হোসেনকে প্রশ্ন করেছিলেন দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও কলামিস্ট মাসুদা ভাট্টি। মইনুল হোসেনের কাছে মাসুদা ভাট্টির প্রশ্ন ছিল : ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সকলেই এই প্রশ্ন তুলছেন যে, আপনি এই ঐক্যফ্রন্টের আয়োজনে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করেন কি না’?
প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে গালি দেন। একজন নারীকে একটি ইলেক্টনিক প্রচার মাধ্যমে এভাবে বলা যায় কি না সেই বিবেচনাবোধ যার নেই তিনি জাতিকে সুবচন শোনানোর ইজারা নিয়েছেন। কারো চরিত্রের সনদপত্র দেওয়ার দায়িত্ব কি তাকে কেউ দিয়েছে?
কোনো প্রশ্নের জবাব না দেওয়ার অধিকার তিনি সংরক্ষণ করেন অবশ্যই, কিন্তু প্রশ্ন করার জন্য কাউকে তিনি গাল দিতে পারেন না। মাসুদা ভাট্টি বা অন্য যে কেউ তাকে প্রশ্ন করার অধিকার রাখেন।
চরম অসহিষ্ণু, অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধাহীন মঈনুল হোসেন যখন ‘গণতন্ত্র’ পুনরুদ্ধার করতে চান, তখন সঙ্গত কারণেই নানা প্রশ্ন সামনে আসে।
পিতার কারণে বঙ্গবন্ধুর ‘করুণা’র কোটায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে মঈনুল হোসেন বঙ্গবন্ধুর বিরোধিতা করেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার সরাসরি সংশ্লিষ্টতা ছিল কি না, জানি না। তবে তিনি খুনি মোশতাকের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন এবং মোশতাকের ডেমোক্রেটিক লীগেও যোগ দিয়েছিলেন।
ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সঙ্গে ইত্তেফাকের মালিকানা বিরোধের জেরে ইত্তেফাক ভবনে হত্যাকাণ্ডও সংঘটিত হয়েছে। মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে সেই হত্যা মামলারও সুরাহা হয়েছে বলে শুনিনি।
এক / এগারোর সময় মইনুল হোসেন রাজনীতিবিরোধী ভূমিকা পালন করেছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণও করেছেন। তিনি ছাত্র শিবিরের সভায় উপস্থিত হয়ে তাদের যে প্রশস্তি গেয়েছেন, তা থেকে তার রাজনৈতিক মানস বুঝতে কারো কষ্ট হওয়ার কথা নয়। বাহ্যত গণতন্ত্রের জন্য মায়াকান্না কাঁদলেও বাস্তবে তিনি একজন স্বৈরমানসিকতার মানুষ। তার কথা বলার ধরন, শারীরিক ভাষা সব কিছুর মধ্যেই এক ধরনের ঔদ্ধত্যের বহিঃপ্রকাশ লক্ষ করা যায়। তিনি যখন কারো চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তখন ক্ষোভ চেপে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে গালি দিয়ে মঈনুল হোসেন সৌজন্য-শিষ্টাচারের সীমা লঙ্ঘন করেছেন। এ জন্য একজন পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেও বিব্রত ও লজ্জিত বোধ করছি। মাসুদা ভাট্টি আমার সহকর্মী। তার সামনে গিয়ে কিছু বলার নৈতিক বল আমি হারিয়েছি মইনুল হোসেনের মতো ‘হটহেডেড’ একজন মানুষের বেসামাল শব্দ চয়নের কারণে। এই অশোভন এবং অমার্জিত শব্দ ব্যবহারের জন্য মাসুদা ভাট্টির কাছে মঈনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। একজন নারীর জন্য অত্যন্ত অপমানজনক এই শব্দ প্রত্যাহার করতে হবে। এটা আমাদের দাবি। কারো চরিত্র হননের অধিকার কারো নেই, থাকতে পারে না। সবচেয়ে বড় কথা, যিনি অন্যকে শ্রদ্ধা বা সম্মান করতে জানেন না, তিনি অন্যের কাছে থেকেও সম্মান বা শ্রদ্ধা পেতে পারেন না। মইনুল হোসেনের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ না করে কি পারা যায়?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন