বিসিজির প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানায়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ভোক্তা বাজার বিশ্বের নবম বৃহত্তম বাজার হতে চলেছে। এছাড়া ২০২০ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশে একটি দ্রুত সম্প্রসারিত মধ্যম এবং ধনিক শ্রেণি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থনীতির মজবুত ভিতের পাশাপাশি এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে তরুণ একটি কর্মী বাহিনী গড়ে উঠবে, যাদের গড় বয়স হবে ২৮ বছর।
বিসিজির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশটি (বাংলাদেশ) তার প্রতিবেশী চীন কিংবা ভারতের কারণে দৃষ্টির আড়ালে থাকতে পারে। তবে অর্থনীতির দিক থেকে এ অঞ্চলে বাংলাদেশের শক্তিশালী অবস্থান সমুন্নতই থাকবে।
বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের থেকে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে ২০১৫ সালে। এই অর্জন ভারতের চেয়ে পাঁচ বছর পর এলেও বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি এরই মধ্যে দিল্লির চেয়ে বেশি। ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে বাংলাদেশ।
তবে সেই লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশকে কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বলে মত বিশ্লেষকদের। বিসিজির তথ্যানুসারে, তারল্য সংকটের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা এবং মুদ্রাস্ফীতির চাপ স্বল্প মেয়াদে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কমিয়ে দিতে পারে।
বিসিজির সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ৫৭ শতাংশ বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের চেয়ে ভালো জীবন পাবে। কারণ, দেশটি এখন দক্ষতাভিত্তিক অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হচ্ছে।’
সবশেষে বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অর্থনীতিতে স্বল্পমেয়াদি কিছু অস্থিরতা দেখা দিলেও এটি নিশ্চিত যে, বাংলাদেশের স্থিতিশীল অর্থনীতিতে দীর্ঘ মেয়াদে প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত থাকবে।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন