কোরিয়া হেরাল্ডের খবর অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে শিশুটিকে দেখতে পাচ্ছিলেন না প্রতিবেশীরা। একপর্যায়ে এ নিয়ে তার মাকে জিজ্ঞাসা করেন তারা। জবাবে তিনি জানান, তাকে অন্য স্থানে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
তবে ৩ বছর অতিবাহিত হলেও একবারও শিশুটিকে বাড়ি ফিরতে দেখেননি প্রতিবেশীরা। এতে তাদের সন্দেহ হয়। ফলে পুলিশে খবর দেন তারা।
পুলিশকে নারী জানান, নিজের সন্তানকে দূরের একটি স্কুলে ভর্তি করেছেন তিনি। পরে সেই ঠিকানা সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট স্কুলে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু শিশুর দেখা পাননি তারা। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার মাকে আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, প্রথমে কিছুতেই সন্তানকে মেরে ফেলার কথা স্বীকার করতে চাননি ওই নারী। পরে তাকে চেপে ধরায় সত্য বলেন। এক অপরাধে গ্রেপ্তার হয়ে জেলে ছিলেন তার স্বামী। ৩ বছর আগে ছাড়া পান তিনি। পরে শিশুটিকে খুন করা হয়।
সূত্র জানায়, প্রমাণ গোপন রাখতে সন্তানের দেহ ৩৫ সেন্টিমিটার দীর্ঘ, ২৪ সেন্টিমিটার চওড়া এবং ১৭ সেন্টিমিটার উচ্চতাবিশিষ্ট প্লাস্টিকের বাক্সে ভরেন এ দম্পতি। পরে বাসার চিলেকোঠায় রেখে দেন তারা।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সেখান থেকে শিশুর দেহাংশ উদ্ধার করা হয়। এরই মধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য তা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির বাবাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন