শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২২

ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশ হওয়ার পথে বাংলাদেশ: বিসিজির প্রতিবেদন

ভোক্তা বাজার, উদীয়মান অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে নতুন নতুন উদ্ভাবন এবং তরুণ জনশক্তিচালিত বাংলাদেশ ২০৪০ সালের মধ্যে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশে পরিণত হতে চলেছে। শুধু তাই নয়, ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ গড় বার্ষিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটি ছাড়িয়ে গেছে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলোকেও। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক ম্যানেজমেন্ট কনসালটিং ফার্ম বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ (বিসিজি)।

বিসিজির প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানায়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ভোক্তা বাজার বিশ্বের নবম বৃহত্তম বাজার হতে চলেছে। এছাড়া ২০২০ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশে একটি দ্রুত সম্প্রসারিত মধ্যম এবং ধনিক শ্রেণি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থনীতির মজবুত ভিতের পাশাপাশি এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে তরুণ একটি কর্মী বাহিনী গড়ে উঠবে, যাদের গড় বয়স হবে ২৮ বছর।

বিসিজির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশটি (বাংলাদেশ) তার প্রতিবেশী চীন কিংবা ভারতের কারণে দৃষ্টির আড়ালে থাকতে পারে। তবে অর্থনীতির দিক থেকে এ অঞ্চলে বাংলাদেশের শক্তিশালী অবস্থান সমুন্নতই থাকবে।

বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের থেকে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে ২০১৫ সালে। এই অর্জন ভারতের চেয়ে পাঁচ বছর পর এলেও বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি এরই মধ্যে দিল্লির চেয়ে বেশি। ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে বাংলাদেশ।

তবে সেই লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশকে কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বলে মত বিশ্লেষকদের। বিসিজির তথ্যানুসারে, তারল্য সংকটের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা এবং মুদ্রাস্ফীতির চাপ স্বল্প মেয়াদে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কমিয়ে দিতে পারে।

বিসিজির সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ৫৭ শতাংশ বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের চেয়ে ভালো জীবন পাবে। কারণ, দেশটি এখন দক্ষতাভিত্তিক অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হচ্ছে।’

সবশেষে বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অর্থনীতিতে স্বল্পমেয়াদি কিছু অস্থিরতা দেখা দিলেও এটি নিশ্চিত যে, বাংলাদেশের স্থিতিশীল অর্থনীতিতে দীর্ঘ মেয়াদে প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত থাকবে।’


১৫ মাসের সন্তানকে খুন করে ৩ বছর বাক্সে ভরে রাখলেন মা-বাবা

দক্ষিণ কোরিয়ার গিয়োঙ্গি প্রদেশে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। ১৫ মাস বয়সী সন্তানকে খুনের পর প্লাস্টিকের বাক্সে ভরে ঘরের মধ্যে ৩ বছর লুকিয়ে রেখেছিলেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইনডিপেন্ডেন্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

কোরিয়া হেরাল্ডের খবর অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে শিশুটিকে দেখতে পাচ্ছিলেন না প্রতিবেশীরা। একপর্যায়ে এ নিয়ে তার মাকে জিজ্ঞাসা করেন তারা। জবাবে তিনি জানান, তাকে অন্য স্থানে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

তবে ৩ বছর অতিবাহিত হলেও একবারও শিশুটিকে বাড়ি ফিরতে দেখেননি প্রতিবেশীরা। এতে তাদের সন্দেহ হয়। ফলে পুলিশে খবর দেন তারা।

পুলিশকে নারী জানান, নিজের সন্তানকে দূরের একটি স্কুলে ভর্তি করেছেন তিনি। পরে সেই ঠিকানা সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট স্কুলে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু শিশুর দেখা পাননি তারা। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার মাকে আটক করা হয়।

পুলিশ জানায়, প্রথমে কিছুতেই সন্তানকে মেরে ফেলার কথা স্বীকার করতে চাননি ওই নারী। পরে তাকে চেপে ধরায় সত্য বলেন। এক অপরাধে গ্রেপ্তার হয়ে জেলে ছিলেন তার স্বামী। ৩ বছর আগে ছাড়া পান তিনি। পরে শিশুটিকে খুন করা হয়।

সূত্র জানায়, প্রমাণ গোপন রাখতে সন্তানের দেহ ৩৫ সেন্টিমিটার দীর্ঘ, ২৪ সেন্টিমিটার চওড়া এবং ১৭ সেন্টিমিটার উচ্চতাবিশিষ্ট প্লাস্টিকের বাক্সে ভরেন এ দম্পতি। পরে বাসার চিলেকোঠায় রেখে দেন তারা।

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সেখান থেকে শিশুর দেহাংশ উদ্ধার করা হয়। এরই মধ্যে  ময়নাতদন্তের জন্য তা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির বাবাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

২৫ হাজার টাকার জন্য গরিবেরা জেলে, ২৫ হাজার কোটি টাকার খেলাপিরা: তারানা হালিমের ফেসবুক স্ট্যাটাস


পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ফেরত না দেওয়ার অভিযোগে ১২ জন কৃষককে কারাগারে পাঠানোকে অন্যায় ও বৈষম্য আখ্যায়িত  করেছেন সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে তারানা হালিম লিখেছেন, সমবায় ব্যাংকের ২৫ হাজার টাকার খেলাপি ঋণের মামলায় গরিবেরা জেলে যান, আর ২৫ হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপিরা আরামে ঘুমান। তিনি আরও লিখেছেন, ‘চাই সমতা। আমি গ্রেপ্তারকৃত কৃষকদের মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। প্রয়োজনে ওই ২৫ হাজার টাকা আমরা দিয়ে দেব।’

পাবনার ঈশ্বরদীতে একটি মামলায় ৩৭ জন কৃষকের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ঈশ্বরদী থানা-পুলিশ বলেছে, বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের কাছ থেকে ওই কৃষকেরা ঋণ নিয়েছিলেন। অবশ্য ঋণের টাকা পরিশোধ করার পরও তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে বলে দাবি কৃষকদের।

বিষয়টি নিয়ে আজ শনিবার প্রথম আলোর প্রথম পাতায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পাবনা জেলা কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেশে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে অনেকে খেলাপি হয়ে আছেন। 

তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয় না। তাঁরা গ্রেপ্তার হন না। কিন্তু মাত্র কয়েক হাজার টাকা ঋণের জন্য কৃষকদের হয়রানি করা হচ্ছে। আমার জানামতে, ঋণের টাকা তাঁরা বহু আগেই পরিশোধ করেছেন। সেই রসিদও তাঁদের কাছে আছে। এরপরও অকারণে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নিন্দা জানাই।’

তারানা হালিম বেলা একটার দিকে নিজের ফেসবুকে কৃষকদের মুক্তির দাবি জানিয়ে স্ট্যাটাস দেন। বিকেল চারটা পর্যন্ত তাঁর পোস্টে মন্তব্য পড়েছে ৭৯৬টি। ১০ হাজার মতো প্রতিক্রিয়া এসেছে। পোস্টটি শেয়ার হয়েছে ৪৪৪ বার। মন্তব্যকারীদের প্রায় সবই তারানা হালিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

তারানা হালিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনাটি আমাকে পীড়া দিয়েছে। মানুষ ২৫ হাজার টাকার জন্য জেলে যাচ্ছেন, আর হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপিরা বহাল তবিয়তে আছেন, এটা মেনে নেওয়া যায় না। কিছু মানুষ বাঁচার লড়াই করছেন আর কিছু মানুষ বিলাসিতার লড়াই করছেন। এটা নিয়ে কেউ কিছু বলছে না।’

কারাগারে পাঠানো কৃষকদের পক্ষে কৃষক লীগ ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের ইতিবাচক ভূমিকা আশা করেন বলে জানান তারানা হালিম। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি কৃষক লীগ না হলে কৃষি মন্ত্রণালয় দেখবে, সমাধান করবে, এই দায়টা গ্রহণ করবে—এটা আমার অনুরোধ ও আশা। prothom-alo

১ ডিসেম্বর থেকে রাজশাহীতে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক

মহাসড়ক থেকে নছিমন, করিমন, ভটভটিসহ অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ না করা হলে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে রাজশাহী বিভাগে ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে পরিবহন মালিক সমিতি। আজ শনিবার দুপুরে নাটোরে এক কমিউনিটি সেন্টারে রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন মালিক সমিতির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এদিকে আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় বিএনপির গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের আগমন ঘটবে। বিএনপির ভাষ্য, অন্যান্য গণসমাবেশের মতো রাজশাহীর গণসমাবেশে মানুষকে আসতে বাধা দিতে এই পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক বলেন, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, আজ দুপুরে তাঁরা নাটোরে বসেছিলেন। সভায় রাজশাহী বিভাগের আট জেলার সব পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, রাজশাহী বিভাগের মহাসড়ক থেকে অবৈধ যান চলাচল বন্ধ না করা হলে তাঁরা আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট দেবেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিআরটিএ বরাবর আগামী দুই–এক দিনের মধ্যে নিজ নিজ জেলার পরিবহন মালিক সমিতি আবেদন জমা দেবে।

ওই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম। তিনি পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের দাবি–দাওয়ার প্রতি সমর্থন জানিয়ে তাঁদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।

ধর্মঘটের বিষয়ে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, কিছু উৎসাহী পরিবহন শ্রমিক ও মালিক সরকারকে এই পরিবহন ধর্মঘটের মাধ্যমে সহযোগিতা করছেন। তাঁরা এ দেশের ৯৫ ভাগ মানুষের বিরুদ্ধে শুধু ধর্মঘট নয়, হরতাল ডেকেছেন। অর্থাৎ তাঁরা জনগণের বিরুদ্ধে হরতাল ডেকেছেন। প্রত্যেকটা সমাবেশের আগে ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও সমাবেশ বিপুলভাবে সফল হয়েছে। যত ধর্মঘট আর যা–ই দেওয়া হোক না কেন, রাজশাহীতে আগামী ৩ ডিসেম্বর হচ্ছে ঢাকার বাইরে শেষ গণসমাবেশ। ওই দিন সবচেয়ে বড় গণসমাবেশ হবে। শুধু সমাবেশস্থল মাদ্রাসা মাঠ নয়, পুরো রাজশাহী শহর জনসমুদ্রে পরিণত হবে। আর এই সমাবেশের মাধ্যমে তাঁরা প্রমাণ করে দেবেন, এ ধরনের ধর্মঘট-হরতাল ডেকে বিএনপির সমাবেশ কোনোভাবেই ব্যর্থ করা যাবে না।

মতিউল হক বলেন, বিএনপির সমাবেশ সামনে রেখে এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনো উল্লেখ নেই। তাঁরা এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে কথা বলে আসছেন। বিভিন্ন সময় প্রশাসনকে এ বিষয়ে চিঠিপত্র দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগেও তাঁরা সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। prothom-alo

মহিলা আ.লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, সম্পাদক শবনম জাহান

 


মহিলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সভাপতি পদে সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি ও সম্পাদক পদে শবনম জাহান শিলা নির্বাচিত হয়েছেন।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তাদের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

মেহের আফরুজ চুমকি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর ৫ আসনের সংসদ সদস্য। এছাড়া শবনম জাহান শিলা সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য।

এদিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেরা বেগম, সাধারণ সম্পাদক পারুল আক্তার নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহিদা তারেক দীপ্তি ও সাধারণ সম্পাদক হাসিনা বারী নির্বাচিত হয়েছেন। 

জনগণ আওয়ামী লীগের বিদায় দেখতে চায়: ফখরুল

 


দেশের মানুষ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যশোরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের জবাবে আজ শনিবার বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় গণসমাবেশে বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের সভানেত্রী, যাকে তারা বলেন প্রধানমন্ত্রী, আমরা বলি অবৈধ প্রধানমন্ত্রী। জোর করে দুই বার নির্বাচন করেছেন। একটা হচ্ছে ২০১৪ সালে (৫ জানুয়ারি) আরেকটা ২০১৮ (৩০ ডিসেম্বর) সালে। ২০১৪-তে কেউ ভোট দিতে যায়নি। ১৫৪ জনকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।’

‘২০১৮-তে আগের রাতেই ভোট শেষ। উনি (প্রধানমন্ত্রী) নাকি আবার নির্বাচন করবেন। পরশুদিন সরকারি সমস্ত সুযোগ-সুবিধা নিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে হাজার হাজার বাস, ট্রাক, মিনিবাস নিয়ে যশোরে একটা সভা করেছেন। এমনকি স্টেডিয়ামের গ্যালারি পর্যন্ত ভেঙে দিয়ে সভা করেছেন।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওই সভায় তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) বলেছেন, আওয়ামী লীগ আসলে নাকি জনগণ শান্তি পায়। শান্তিতে আছেন আপনারা? সমস্বরে উত্তর দেন ‘না’। আর কী বলেছেন জানেন, আবার নৌকায় ভোট দেন।’

তিনি বলেন, ‘আব্বাস উদ্দিনের গান ছিল- আগে জানলে তোর ভাঙা নৌকায় চড়তাম না। বাংলাদেশের সব মানুষ এই গান গাইতে শুরু করেছে। এই নৌকার কথা এখন ভুলে যান। দেশের মানুষ আপনাদের (আওয়ামী লীগ) বিদায় দেখতে চায়। দয়া করে সময় থাকতেই কেটে পড়ুন। তা না হলে এ দেশের মানুষ আপনাদের বিদায় করবে। কিভাবে করবে তা আপনারা জানেন- অতীতেও করেছে।’

একটাকেও ছাড়ব না, এটা হলো বাস্তব কথা: প্রধানমন্ত্রী



বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা হুঁশিয়ার করে বলেছি আপনারা আন্দোলন করেন, সংগ্রাম করেন, মিছিল করেন, মিটিং করেন কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু যদি কোনো মানুষকে পুড়িয়ে মারার বা বোমা মারার বা গ্রেনেড মারার বা এ ধরনের অত্যাচার করতে যায়, তাদের একটাকেও ছাড়ব না। এটা হলো বাস্তব কথা।’

আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

বিএনপি আমলের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ওপর যে আঘাত দেওয়া হয়েছে আমরা তা ভুলিনি। আমরা সহ্য করছি দেখে যেন এটা মনে না করে যে, সহ্য করাটা আমাদের দুর্বলতা। দুর্বলতা না। বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে, আমাদের সঙ্গে আছে। খুনিদের সঙ্গে নেই।’

বিএনপির আন্দোলনে সরকার বাধা দিচ্ছে না দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা তাদের বাধা দিচ্ছি না। কিন্তু যেভাবে তারা ওই অত্যাচারগুলো করেছিল আমরা ভুলব কীভাবে? সাধারণ মানুষ ভুলবে কীভাবে? তার ওপর তাদের অগ্নিসন্ত্রাস, এটা কোনো মানুষের কাজ? জীবন্ত মানুষগুলোকে আগুন দিয়ে দিয়ে পুড়িয়ে মারা, এটাই নাকি বিএনপির আন্দোলন!’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নারীদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। গৃহহীনদের ঘরসহ বিভিন্ন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আর বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে তেমন কিছুই করেনি। ধর্ষণসহ নারীর বিরুদ্ধে অত্যাচার-নির্যাতন হয়েছে।’

সম্মেলন শেষে সংসদ সদস্য (এমপি) মেহের আফরোজ চুমকিকে সভাপতি ও শবনম জাহান শিলাকে সাধারণ সম্পাদক করে মহিলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ কমিটি ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় মহিলা আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি করা হয়েছে শাহেদা তারেক দিপ্তিকে। আর সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন হাসিনা বারী চৌধুরী। দক্ষিণের সভাপতি হয়েছেন সাবেরা বেগম ও সাধারণ সম্পাদক পারুল আক্তার। 

বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন তিক্ত: নিউইয়র্ক টাইমস’র প্রতিবেদন

একসময়ের বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কয়েক মাস ধরে ফুঁসতে থাকা উত্তেজনা সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। বাংলাদেশে একজন হিন্দু পুরো...