সনাতনী নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের জেরে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহতের প্রেক্ষাপটে ভারত সরকারের পক্ষে বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার প্রশ্নে একাধিকবার উদ্বেগ জানানো হয়েছে। এরইমধ্যে দিল্লিকে কড়া জবাব দিয়ে ঢাকা বলেছে, এটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। দেশের সংখ্যালঘুরা সুরক্ষিত ও নিরাপদে আছে। বরং ভারত সরকারের উচিত হবে, সে দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
এমনই প্রেক্ষাপটে মমতা বিধানসভায় প্রস্তাব জানান, কেন্দ্রীয় সরকার যেন রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে বাংলাদেশে শান্তিসেনা পাঠানোর দাবি জানায়। অথচ কিছুদিন আগেই মমতা উল্টোসুরে বাংলাদেশের প্রতি ভালবাসার বার্তা ছড়িয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবারই (২৮ নভেম্বর) কলকাতায় সাংবাদিকদের তৃণমূল কংগ্রেসের এই নেত্রী বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে আমরা ভালবাসি। তারাও আমাদের এবং বাংলাকে ভালবাসেন। তাদের এবং আমাদের ভাষা, সাহিত্য ও পোশাক এক। আমরা চাই না ধর্মে-ধর্মে বিভেদ করা হোক এবং তার রেশ আমাদের উপর পড়ুক। মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরদোয়ারা সবই থাকবে। প্রত্যেকেই যেন তার নিজস্ব ধর্ম পালন করতে পারেন।’
সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিধানসভায় তিনি বলেন. বাংলাদেশের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পরামর্শ মেনেই চলবেন তারা। একই সঙ্গে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কিংবা বিদেশমন্ত্রীর এস জয়শঙ্কর বিবৃতি দাবি করেন মমতা।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ নিয়ে সংসদে বিবৃতি দিন প্রধানমন্ত্রী। যদি তার কোনও অসুবিধা থাকে, তবে বিদেশমন্ত্রী বিবৃতি দিন।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন