সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪

বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন তিক্ত: নিউইয়র্ক টাইমস’র প্রতিবেদন


একসময়ের বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কয়েক মাস ধরে ফুঁসতে থাকা উত্তেজনা সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। বাংলাদেশে একজন হিন্দু পুরোহিতকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর দুই প্রতিবেশী পরস্পরের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযোগ তুলেছে।

গত আগস্টে বাংলাদেশে গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মিত্র শেখ হাসিনা। তিনি ভারতে পালিয়ে যান। ভারতে তাঁর অব্যাহত উপস্থিতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও মোদি সরকারের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি করেছে। 

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার বর্তমান সম্পর্ক নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদপত্র দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৮৪ বছর বয়সী নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে, হাসিনা ভারতে বসে ক্ষমতায় ফিরে আসার ষড়যন্ত্র করছেন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নেতারা ভারতের বিরুদ্ধে এই অভিযোগও তুলেছেন, রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণকে অতিরঞ্জিত করে তুলে ধরছে ভারত।

দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে উত্তেজনার সবশেষ স্ফুলিঙ্গ ছিল চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের ঘটনা। তিনি বাংলাদেশের একজন হিন্দু পুরোহিত। ১৭ কোটি জনসংখ্যার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা ১০ শতাংশের কম।

অতীতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস একটি প্রভাবশালী বৈশ্বিক হিন্দু সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সংগঠনটির নাম ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব কৃষ্ণ কনসায়নেস, যা ইসকন বা হরে কৃষ্ণ সোসাইটি নামেও পরিচিত। (বতর্মানে চিন্ময় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ)।

বাংলাদেশের চট্টগ্রামের একটি আদালত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ঔপনিবেশিক আমলের রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের মামলায় বিচার-পূর্ব কারাগারে পাঠিয়েছেন। এর আগে স্থানীয় একজন রাজনীতিবিদ অভিযোগ (কোতোয়ালি থানায়) দায়ের করেছেন, হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন বন্ধের আহ্বান জানিয়ে একটি সমাবেশে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকে অসম্মান করেছেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকে নিচে রেখে ওপরে রেখেছিলেন গেরুয়া রঙের পতাকা (হিন্দুধর্মের প্রতীক)।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের সমর্থকেরা আদালত ঘেরাও করলে ঘটনা প্রাণঘাতী রূপ নেন। পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এ সময় একজন মুসলিম আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের পর হিন্দুপাড়ায় হামলা ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কারা এই আইনজীবীকে হত্যা করেছেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়। সহিংসতার অভিযোগে ২০ জনের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম নগরীর আইনজীবীরা আদালত বর্জন করেন।

এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে একজন ধর্মীয় নেতা শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে ন্যায্য দাবি পেশ করে আইনি ঝামেলার সম্মুখীন হচ্ছেন। অন্যদিকে হিন্দু দেবতা ও মন্দির অপবিত্র করাসহ সংখ্যালঘুদের ওপর হামলায় জড়িত চরমপন্থীরা মুক্ত রয়েছেন।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মুক্তি না দিলে সীমান্ত অবরোধ করার হুমকি দিয়েছেন বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সমর্থকেরা।বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বিদ্বেষ ও নিপীড়নের সম্মুখীন হয়ে আসছেন। ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতা ও ইসলামি জঙ্গিবাদের উত্থানের মুখে সে দেশে তাঁদের সংখ্যা কমেছে।

ইসকনের বাংলাদেশের নেতারা বলেছেন, সংগঠনটি আইন মেনে চলে। তাঁরা আদালতের বাইরে মুসলিম আইনজীবীর মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তাঁরা প্রথমে বিবৃতি দিয়েছিলেন। পরে তাঁরা তাঁর থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছেন।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিমিশন পাঠান: মমতা

বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিমিশন পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপধ্যায়। সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে দেশটির জাতীয় সংসদে (বিধানসভায়) এ প্রস্তাব জানান তিনি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।

সনাতনী নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের জেরে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহতের প্রেক্ষাপটে ভারত সরকারের পক্ষে বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার প্রশ্নে একাধিকবার উদ্বেগ জানানো হয়েছে। এরইমধ্যে দিল্লিকে কড়া জবাব দিয়ে ঢাকা বলেছে, এটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। দেশের সংখ্যালঘুরা সুরক্ষিত ও নিরাপদে আছে। বরং ভারত সরকারের উচিত হবে, সে দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

এমনই প্রেক্ষাপটে মমতা বিধানসভায় প্রস্তাব জানান, কেন্দ্রীয় সরকার যেন রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে বাংলাদেশে শান্তিসেনা পাঠানোর দাবি জানায়। অথচ কিছুদিন আগেই মমতা উল্টোসুরে বাংলাদেশের প্রতি ভালবাসার বার্তা ছড়িয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবারই (২৮ নভেম্বর) কলকাতায় সাংবাদিকদের তৃণমূল কংগ্রেসের এই নেত্রী বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে আমরা ভালবাসি। তারাও আমাদের এবং বাংলাকে ভালবাসেন। তাদের এবং আমাদের ভাষা, সাহিত্য ও পোশাক এক। আমরা চাই না ধর্মে-ধর্মে বিভেদ করা হোক এবং তার রেশ আমাদের উপর পড়ুক। মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরদোয়ারা সবই থাকবে। প্রত্যেকেই যেন তার নিজস্ব ধর্ম পালন করতে পারেন।’

সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিধানসভায় তিনি বলেন. বাংলাদেশের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পরামর্শ মেনেই চলবেন তারা। একই সঙ্গে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কিংবা বিদেশমন্ত্রীর এস জয়শঙ্কর বিবৃতি দাবি করেন মমতা।


তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ নিয়ে সংসদে বিবৃতি দিন প্রধানমন্ত্রী। যদি তার কোনও অসুবিধা থাকে, তবে বিদেশমন্ত্রী বিবৃতি দিন।’

বাংলাদেশি সংখ্যালঘুদের ভারতে পালানোর খবর সত্য নয়: দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন

শেখ হাসিনার পতনের পর দলে দলে সংখ্যালঘুদের ভারতে পালানোর তথ্য সঠিক নয়। রোববার (১ ডিসেম্বর) দ্য হিন্দু জানিয়েছে, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। 

দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টার একটি তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, গত ৫ আগস্টের পর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ১ হাজার ৩৯৩ জন বাংলাদেশিকে আটক করে।

অরপরদিকে, শেখ হাসিনার পতনের আগে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ১ হাজার ১৪৪ জনকে অনুপ্রবেশের সময় আটক করেছিল বিএসএফ। যার অর্থ সরকারের পতনের পর হাজার হাজার মানুষের সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।

বাংলাদেশ থেকে সব মিলিয়ে ২০২৪ সালে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় বিএসএফ ৩ হাজার ৯০৭ জনকে সীমান্ত থেকে আটক করেছে। যার মধ্যে ভারতীয় ও বাংলাদেশি উভয়ই আছে। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে ৩ হাজার ১৩৭ জন বাংলাদেশিসহ মোট ৫ হাজার ৯৫ জনকে আটক করা হয়েছিল।

অপরদিকে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ৮৭৩ জন ভারতীয় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে। সরকার পতনের পর ৫ আগস্ট থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ৩৮৮ জন ভারতীয় কোনো কাগজপত্র ছাড়াই বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করেছে।


এদিকে, গত সপ্তাহে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের পর ফের ভারতীয় মিডিয়া দাবি করে, বাংলাদেশে হিন্দুসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ নির্যাতিত হচ্ছে। যাদের অনেকে দেশ ছাড়ার চিন্তা করছেন। তবে এখন পর্যন্ত চিন্ময় ইস্যু নিয়ে এ ধরনের কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি বলে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ জানিয়েছে।

গুপ্তধন ভেবে বাড়িতে গ্রেনেড লুকিয়ে রাখলেন কৃষক, এরপর…

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় নদীতে মাটি কাটতে গিয়ে পুরোনো একটি গ্রেনেড পান কৃষক লেবু মিয়া (২৪)। সেটিকে গুপ্তধন ভেবে এক মাস বাড়িতে লুকিয়ে রাখেন তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ সেটি উদ্ধার করেছে।

আজ সোমবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পাটগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুজ্জামান সরকার। পাটগ্রামের বাউরা বাজার এলাকার মোফাজ উদ্দিনের ছেলে কৃষক লেবু মিয়া।

ওসি আশরাফুজ্জামান সরকার জানান, গত এক মাস আগে বাউরা নবিনগর এলাকায় সানিয়াজান নদীতে মাটি কাটতে গিয়ে গ্রেনেডটি পান লেবু মিয়া। প্রথমে এটিকে গুপ্তধন ভেবে গোপনে বাড়িতে রেখে বিভিন্নভাবে আঘাত করে ভাঙার চেষ্টা করেন। অবশেষে গতকাল রবিবার রাতে বুঝতে পারেন, এটি গুপ্তধন নয়, পুরোনো গ্রেনেড। পরে বিষয়টি স্থানীয় বডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নবিনগর ক্যাম্পে জানানো হয়। বিজিবির ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার মজিবুর রহমান থানায় জানালে পুলিশ গ্রেনেডটি উদ্ধার করে।


ওসি আরও জানান, গ্রেনেডটি আকারে ছোট হওয়ায় হাতের মুষ্টিতে রাখা সম্ভব। এটি নিস্ক্রিয় করতে সেনাবাহিনীর বিস্ফোরক ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে।

৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিলেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা

নিজের দেওয়া তিন দফা দাবি মানতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার সকালে তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আল্টিমেটাম দেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে স্নাতকোত্তর ১৯-২০ সেশনের ছাত্র মোশাররফ হোসেন রাব্বী বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে যে কমিটি হয়েছে সেটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে। কমিটি প্রকাশের পর তিন কর্মদিবসের মধ্যে তিতুমীর কলেজে এসে সরজমিনে পরিদর্শন করার মাধ্যমে কাজ শুরু করতে হবে। কমিটি প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট প্রদান করতে হবে।

স্নাতকোত্তর ২১-২২ সেশনের ছাত্র আবদুল হামিদ বলেন, ‘গত ১৮ নভেম্বর আলোচনায় মন্ত্রণালয় আমাদের দাবির যৌক্তিকতা বুঝতে পারে এবং তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের জন্য একটি শক্তিশালী কমিটি করার সিদ্ধান্ত নেয়, যা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও তা প্রকাশে তালবাহানা শুরু করা হয়। এর প্রতিবাদে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা রাতেই আবার রাস্তায় নামে। ’

তিনি বলেন, ‘পরে রাতেই সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয় এবং তারা এটি নিশ্চিত করেন যে ১৯ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বসে আমাদের বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। ১৯ নভেম্বর তারা আমাদের সঙ্গে পুনরায় আলোচনায় বসেন, যেখানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. এম আমিনুল ইসলাম এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। ’

আব্দুল হামিদ বলেন, ‘এ আলোচনায় সিদ্ধান্ত আছে যে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার সম্ভব্যতা যাচাইয়ে একটি পৃথক কমিটি হবে এবং এই কমিটি গঠনের জন্য ৭ দিন সময়ের কথা বলেন নাহিদ ইসলাম। আমরা প্রাথমিকভাবে মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে সব কর্মসূচি স্থগিত করে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন। ’

তিনি বলেন, ‘আমরা তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে ৭ দিন ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক কার্যক্রমের অংশগ্রহণ করি, কিন্তু ৭ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও তারা কমিটি করার বিষয়ে কোনো আপডেট আমাদের দেয়নি। আমরা তাদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করি, কিন্তু বারবারই বলা হয় কমিটি করার প্রক্রিয়া চলমান, অপেক্ষা করুন। ’


তিতুমীর কলেজের এ ছাত্র বলেন, ‘অপেক্ষা করতে করতে ৭ দিন পার হয়ে যায়। সময় শেষ হওয়ার পর তারা শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর ব্যক্তিগত সহকারী মুসতাহসিন তাসমিম রহমান অনিদ্র জানান, কমিটি করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্টদের অনুলিপি দেওয়া হবে। কিন্তু সেই অনুলিপি এখনও আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি।মন্ত্রণালয়ের এমন দোদুল্যমান সিদ্ধান্তে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা ব্যথিত।’ 

ভারতের মিডিয়া বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা খবর দিচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘পার্শ্ববর্তী দেশের গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে অনেক মিথ্যা খবর প্রচার করছে। বাংলাদেশের গণমাধ্যম সত্য খবর প্রচারের মাধ্যমে তাদের মিথ্যা প্রচারকে বন্ধ করতে পারে।’

সোমবার রংপুরের পীরগঞ্জের বাবুনপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদের কবর জিয়ারত এবং পরিবারের খোঁজখবর শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এখানে (বাংলাদেশে) কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। পার্শ্ববর্তী দেশের মিডিয়া আমাদের সম্পর্কে অনেক মিথ্যা প্রচার করে।’

জুলাই-আগস্টের আন্দোলন ঘিরে হওয়া ঢালাও মামলার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আন্দোলন ঘিরে যারা মিথ্যা মামলা দিচ্ছে আমরা তাদেরও আইনের আওতায় আনবো। মিথ্যা মামলায় যেন কাউকে শাস্তি পেতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে আমরা একটি কমিটিও তৈরি করছি।’

ইসকন নিষিদ্ধের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে এ নিয়ে কোনো তথ্য নেই। পরিকল্পনা হলে জানতে পারবেন।’


প্রসঙ্গত, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দুপুরে রংপুর পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে বিভাগীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বিকেলে বিভাগীয় কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা রয়েছে।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠাতে বললেন মমতা


বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী পাঠাতে ব্যবস্থা নিতে ভারত সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ইস্যু ঘিরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেছেন, জাতিসংঘের নিয়ম মেনে যদি বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী পাঠানো যায়, তাহলে সেই ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি তিনি অনুরোধ জানাচ্ছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। 

সোমবার দুপরে মমতা বলেছেন, ‘জাতিসংঘের সঙ্গে এই বিষয়ে ভারত সরকার কথা বলুক যাতে সেখানে তারা শান্তি বাহিনী পাঠাতে পারে। আমাদের এই বিষয়ে অনুরোধ রইল।’

বিধানসভার অধিবেশনে তিনি আরও বলেন, ‘বর্ডার সিকিউরিটি কেন্দ্রের আওতায় আমাদের এখতিয়ার বা দায়িত্বে নেই। আমরা হাউজের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানাচ্ছি প্রধানমন্ত্রী যেন সংসদে বাংলাদেশের বিষয়ে কথা বলেন। যদি প্রধানমন্ত্রীর অসুবিধা থাকে কোনো ব্যাপারে তাহলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী যেন সংসদে বিবৃতি দিয়ে জানান যে কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমার দ্বিতীয় পরামর্শ যদি এ জাতীয় ঘটনা (সহিংসতার) ঘটতে থাকে তাহলে আমরা আমাদের লোকেদের ফিরিয়ে আনব। সরকার উদ্যোগ নেবে। তারা ফিরে আসলে থাকার, খাওয়ার কোনো সমস্যা হবে না। কোনো ভারতীয়ের উপর অত্যাচার হবে সেটা আমরা হতে দিতে পারি না।’

তবে 'ভারতীয়দের উপর অত্যাচার' বলতে তিনি কাদের বুঝিয়েছেন, তা ওই বক্তব্যে পরিষ্কার করেননি। দুই দেশের মধ্যে বর্তমান টানাপোড়েনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে যে উদ্বেগের আবহাওয়া রয়েছে, সেই আবহে সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়ে রাজ্য কী করতে পারে সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পরামর্শও চেয়েছেন তিনি।


বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন তিক্ত: নিউইয়র্ক টাইমস’র প্রতিবেদন

একসময়ের বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কয়েক মাস ধরে ফুঁসতে থাকা উত্তেজনা সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। বাংলাদেশে একজন হিন্দু পুরো...